মুন্সিগঞ্জ, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে বিকল্প চ্যানেল ব্যবহার করে ফেরি চলাচল শুরু করতে আজ প্রথমবারের জন্য চেষ্টা চালানো হয়েছে।
প্রথম চেষ্টায় ফেরি ক্যামেলিয়া শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে প্রায় ৬ ঘন্টায় কাঁঠালবাড়ি গিয়ে পৌছেছে। তবে এরপর আর কোন ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি।
শুধুমাত্র ১০-১২ টি পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে দুপুর ১২ টা ২৫মিনিটে শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ফেরি ক্যামেলিয়া।
এভাবে বিকল্প পথে ফেরি চলাচল পুরোপুরি চালু করলে অতিরিক্ত ২৮ কিলোমিটার বেশি নৌ-পথ পাড়ি দিয়ে স্বাভাবিক সময়ের থেকে তিনগুণ বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুর শিমুলিয়া ঘাট ও পদ্মা সেতুর লৌহজং পয়েন্টে ড্রেজিং কার্যকম্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘গত আটদিন একটানা এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে নৌরুটিকে চালু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে একরাতের মধ্যে চর ভেঙে এই চ্যানেল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এসে কয়েকটি বিকল্প চ্যানেল পরিদর্শন করেছি ও এই চ্যানেলটিকে অক্ষত রাখার জন্য কি করতে পারি। লৌহজং চ্যানেলটিকে আগামীকালের মধ্যে খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ ইতিমধ্যে সেখানে ড্রেজার কাজ করছে।’
‘আমরা আশা করি, আগামীকালের মধ্যে ফেরি চলাচল শুরু করতে পারবো। এছাড়া হাজরার চর যা প্রায় এক কিলোমিটার, একটি বিকল্প চ্যানেল হিসাবে আছে। সেখানে আমাদের কিছু ড্রেজিং করার পরিকল্পনা আছে, যা ড্রেজিং করলে চালু করতে করতে পারবো। কিন্তু এগুলো করতে সময় লাগবে। লৌহজং চ্যানেল কিন্তু অনিশ্চিত। কেননা পাশেই ভাংগন চলছে, যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
এছাড়াও এই নৌ-রুটে পুরো সংকট কাটিয়ে উঠতে আরো ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
‘ফেরি ক্যামেলিয়া সফলভাবে পৌছাতে পারলে, সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল করবে এই বিকল্প নৌ-রুটে, তবে এ পথে পদ্মা পাড়ি দিতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।’
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক
এ সময় তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শুধু জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ব্যতীত, যাত্রীবাহী সকল প্রকার যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল চন্দ্র দাস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাঁজা মিয়া, বিআইডব্লিউটিএ’র চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ড্রেজিং) আব্দুল মতিন, পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের প্রমুখ।