মুন্সিগঞ্জ ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, লৌহজং প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বাশিরা গ্রামে দেবরের হাতে খুন হয়েছেন ভাবী।
এ ঘটনায় লৌহজং থানায় রবিবার নিহত পারুলের বাবা আকবর হোসেন অভিযুক্ত আলামিন, আলামিনের মা মঞ্জুরা বেগম, স্ত্রী সাদেকা ও বোন আছিয়াকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
পারুলের বাবা আকবর হোসেন জানান, রোববার দুপুরে নিহত পারুলের দেবর পুকুরঘাটে যাওয়ার পথে বেড়া দিচ্ছিলেন, যাতে ভাই জুলহাসের পরিবারের লোকজন ঘাটে যেতে না পারে। এসময় ভাবী পারুল বেড়া দিতে বাঁধা দেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলামিন তার হাতে থাকা শাবল দিয়ে পারুলকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। জুলহাস হাওলাদারের স্ত্রী পারুল আক্তারকে (৩০) দেবর আলামিন শাবল দিয়ে মাথা, মুখমন্ডলসহ শরীরের নানা স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করলে পারুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পারুল পাশ্ববর্তী টংগিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সেখানে রোববার রাত ১০ টার সময় চিকিৎসারত অবস্থায় পারুল মারা যায়।
লৌহজং থানার (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, নিহত পারুলের এক ছেলে ও তিন মেয়ে আছে। ছোট্ট মেয়েটি ৬মাস বয়সী। পারুলের স্বামী জুলহাস হাওলাদার চার বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে ফিরেছেন।
এরপরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অর্ধ প্রতিবন্ধী অবস্থায় আছেন। সামান্য জমিজমা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আর আলামিন পেশায় অটোরিকশা চালক।
ঘটনার পর থেকে আলামিন পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।