বন্যার পানি বৃদ্ধির কারণে মুন্সিগঞ্জের তিনটি উপজেলায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
পদ্মায় পানি বেড়ে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি রুটে কাওড়াকান্দির একটি ঘাট তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী রোববার গোয়ালন্দ, ভাগ্যকুল ও সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা নদী বিপদসীমার যথাক্রমে ১০১, ৫৮ ও ২০ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল জানান, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং, টঙ্গীবাড়ি ও শ্রীনগর উপজেলার অন্তত ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এলাকাগুলো হলো- লৌহজংয়ের কলমা, ডহরী, শামুরবাড়ি, কনকশার, যসলদিয়া, কান্দিপাড়া, টঙ্গীবাড়ির হাসাইল, বানারী, পাঁচনখোলা, নগরযোয়ার, পাঁচগাঁও, কামারখাড়া এবং শ্রীনগরের কবুতরখোলাসহ পদ্মা তীরের আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম।
এসব এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার বন্যাকবিলিত হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানান, পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। উচ্চ ক্ষমতার টাক বোড দিয়ে ফেরিগুলো লৌহজং টার্নিংয়ে টেনে নেওয়া হচ্ছে।
“এখন ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া প্রান্তে শতাধিক ট্রাকসহ উভয়পাড়ে অন্তত ২শ’ যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে পানি বেড়ে যাওয়ায় ফেরি ঘাটের পানি ছুঁই ছুঁই করছে। আশপাশের দোকানপাটে পানি উঠেছে।”
এখনও শিমুলিয়া প্রান্তে তিনটি ঘাটই সচল রয়েছে। তবে কাওড়াকান্দিতে ২ নম্বর ঘাট তলিয়ে গেছে। ১ নম্বর ও ৩ নম্বর ঘাট দিয়ে যানবাহন উঠানামা করছে বলে জানান তিনি।