১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | সকাল ১০:৫৯
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ‘পদ্মা সেতু’ পুরোটা দৃশ্যমান
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে পুরোপুরি দৃশ্যমান হলো দেশবাসীর কাছে সরকারের প্রতিশ্রুত ‘পদ্মা সেতু’। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর পুরোটাই দৃশ্যমান হলো আজ।

এর মাধ্যমে বিশ্ব দেখলো নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষম বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া অংশে মাঝ নদীতে ১২ ও ১৩ নং পিয়ারে সবশেষ স্প্যানটি বসানো হয়।

বসছে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান। ছবি: আমার বিক্রমপুর।

এর আগে কুয়াশার কারনে স্প্যান বসাতে প্রতিকুলতা দেখা দিলেও সকাল ১০ টা’র দিকে সূর্য উকি দেয় মাঝপদ্মায়। এরপর ক্রেনে থাকা স্প্যানটি ধীরে ধীরে উপরে উঠানো শুরু হয়।

এদিকে স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যে সেতুতে ১৮ শতাধিক রেলওয়ে ও ১২ শতাধিক রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৪০ টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫হাজার ৮৫০ মিটার অংশ।

৪২ টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে পদ্মা সেতু।

error: দুঃখিত!