২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ২:০৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
‘আপনারা কি ফয়সালের কথা ভুলে গেছেন?’
খবরটি শেয়ার করুন:

`আপনারা কি ফয়সালের কথা ভুলে গেছেন? আমার নির্বাচন করতে গিয়ে আনিসুজ্জামান আনিসের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিলো ফয়সাল। ফয়সালের আত্মা আজও বিচারের বাণীতে নিভৃতে কাঁদে। মুন্সিগঞ্জের পুলিশ-প্রশাসন এখনো ফয়সাল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।’ ফেইসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে এসব কথা লিখেছেন গত উপজেলা নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ সদরের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহতাব উদ্দিন কল্লোল

ভোটের দিন মুন্সিগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের তর্কে স্থানীয় দুই পক্ষের দ্বন্দের জেরে এলোপাতাড়ি গুলি চললেও পুলিশ ছিলো নির্বিকার। ঘটনার দিন ব্যবহৃত অস্ত্রটি কার সেটিও বের করতে পারেনি পুলিশ।

উল্টো প্রশাসন বরাবরই এ ঘটনাকে ‘পূর্ব শত্রুতা’ বলছেন। কিন্তু ব্যবহৃত অস্ত্র সম্পর্কে পুলিশ এখনো অন্ধকারে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যিনি একই ব্যাক্তিদের হাতে প্রহৃত হয়েছেন রোবেল সরদার তিনি বলছেন, ‘ফয়সাল হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের ‘ভূমিকা’ অসন্তোসজনক।’

তিনি বলেন, ‘৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা হলেও আসামীরা এখনো প্রকাশ্যে। তাদের গ্রেফতারে প্রশাসনের আগ্রহ নেই’

এ নিয়ে ‘আমার বিক্রমপুর’ এর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহতাব উদ্দিন কল্লোল।

তিনি বলেছেন, ‘আমি ও আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী দুজনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি। তাহলে আমি অহিংস থেকে নির্বাচন করতে পারলে তিনি পারলেন না কেন? কারন, তাদের এই সহিংস চর্চাটা নতুন নয়। তাদের হাতে সহিংসতার শিকার অনেক। অনেক সংখ্যালঘু পরিবারও আছে। তিনি দেশত্যাগে বাধ্য করে জমি দখল করে নিয়েছেন এমন ঘটনাও আছে’

প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে বলছি না বিশেষ কিছু করে দিতে। অন্য ১০ টা ঘটনার মত তারা যেসব ব্যবস্থা নিতো তারা তাই নিক। কিন্তু তারা তা ও করছে না। এত বড় একটা ঘটনা, গুলি করা হলো। একজন সাধারণ রিক্সাওয়ালা গুলিবিদ্ধ হলো। আরেকজন আমার সমর্থক গুলি খেয়ে ধুকে ধুকে মারা গেলো। অথচ প্রশাসন অস্ত্র উদ্ধারে পর্যন্ত নামলো না। এরকম আচরণ করতে থাকলে প্রশ্ন তো আমরা তুলবোই’

ফয়সালের পরিবারের সদস্যরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ‘আমার বিক্রমপুর’ এর কাছে। তারা বলছেন, ‘আমরা প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারন বুঝতে পারছিনা। ফয়সাল তো আওয়ামী লীগেরই লোক ছিলো। তাহলে বিচারের জন্য কি ফয়সালকে আবারও প্রমাণ দিতে হবে সে আওয়ামী লীগের কর্মী! তারপর তার বিচার শুরু হবে? তারপর আসামীদের ধরা হবে।’

 

 

 

error: দুঃখিত!